বিয়ের অনুষ্ঠানে শ্বশুরকে মারলেন নতুন জামাই

বিয়ের অনুষ্ঠানে শ্বশুরকে মারলেন নতুন জামাই

বিয়ের অনুষ্ঠানে শ্বশুরকে মারলেন নতুন জামাই
বিয়ের অনুষ্ঠানে শ্বশুরকে মারলেন নতুন জামাই

অনলাইন ডেস্ক: বরগুনার তালতলীতে বর পক্ষের হামলায় কনে পক্ষের ১৩ জন আহত হয়েছেন। বউভাত অনুষ্ঠানে নারীদের বসা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এতে খাবার না খেয়ে বরের বাড়ি থেকে কনেকে নিয়ে চলে যান তার পরিবার। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার কাজিরখাল এলাকার ঘটনা এটি।

জানা গেছে, গত শুক্রবার বরগুনার সোনাতলা এলাকার সোবাহান ঘরামীর মেয়ে রাবেয়ার সঙ্গে তালতলীর কাজিরখাল এলাকার ছবুর আকনের ছেলে রবিউল আকনের পারিবারিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। সোমবার বিকেলে বরের বাড়িতে বউ ভাতের আয়োজন করে বর পক্ষ।

ওই দিন দুপুরে বরের বাড়িতে আসেন কনে পক্ষের ২৫ জন লোক। খাবার পরিবেশনের সময় নারী-পুরুষদের একত্রে বসানোর জন্য নিষেধ করেন কনে পক্ষ। এ সময় বর পক্ষ থেকে কনে পক্ষের নারীদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়। এর প্রতিবাদ করে কনে পক্ষের লোকজন।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বর পক্ষের লোকজন কনে পক্ষের ওপর হামলা চালান। হামলায় কনের বাবা সোবাহান ঘরামী, ফুফা মোস্তফা, ফুপু বিলকিস বেগম, নানি হাজেরা বেগমসহ কনে পক্ষের ১৩ জন আহত হন।

পরে আহতরা তালতলী উপজেলা সদর থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বরগুনায় ফিরে যান।

কনের চাচা মোহম্মদ আলী ছাত্তার জানান, ‘দুপুর গড়িয়ে বেলা ৩টার দিকেও আমাদের খাবার দেওয়া হয়নি। পরে খাবার দেওয়ার আগে নারী ও পুরুষদের একই সঙ্গে বসাতে নিষেধ করি। এ সময় তারা আমাদের সাথে থাকা নারীদের নিয়ে কটূক্তি করে কথা বলেন। প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কনের বাবার জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে তাকে মারধর করে জামাতা রবিউল।

বর রবিউলের বাবা ছবুর আকন বলেন, ‘আমরা ভুল করেছি। রাতে কনে পক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। ইউপি চেয়ারম্যান আমাদের দুপক্ষের সমস্যা সমাধান করবেন। ‘

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, বিয়ে বাড়িতে ঝামেলার কথা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আহত কনে পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply